সংবাদ শিরোনাম :
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ৮ম চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ৬ষ্ঠ চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত জালালাবাদ এসোসিয়েশনের পঞ্চম চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত জালালাবাদ এসোসিয়েশনের চতুর্থ চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত জালালাবাদ এসোসিয়েশনের তৃতীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত জালালাবাদ এসোসিয়েশনের দ্বিতীয় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকা’র পুনর্বাসন কার্যক্রমে সায়হাম গ্রুপের ১০ লক্ষ টাকা অনুদান জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ত্রাণ বিতরণ আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুতে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের শোক বিশ্বময় জালালাবাদ সম্প্রীতির বন্ধন

দেওয়ান নুরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী আর নেই

লেখক, গবেষক, সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সাবেক মহাপরিচালক দেওয়ান নুরুল আনোয়ার চৌধুরী আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

লেখক গবেষক দেওয়ান নুরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ সালে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর পরগনার সদরঘাট গ্রামে এক ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস সেভেনে ভর্তি হয়ে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে এসএসসি উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে মৌলভীবাজার কলেজ থেকে আই কম ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সলিমুল্লাহ কলেজ (ঢা :বি:) অধীনে বি.এ. পাস করেন। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি সম্পন্ন করে কর্মজীবনের দ্বার উন্মোচন করেন। ১৯৬৬ সালে ঢাকা জর্জ কোর্টে যোগ দানের মাধ্যমে আইন পেশায় তাঁর অভিষেক ঘটে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এন্ড ডেপুটি কালেক্টার (ল’ইয়ার ম্যাজিস্ট্রেট থেকে) চট্রগ্রাম (সদর উত্তর) ৩১-১২-১৯৬৯ থেকে ০২-১০-১৯৭৩ খৃষ্টাব্দে (প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, কলাবরেটার আইন ও অন্যান্য বিশেষ আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত) । এভাবে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে শেষ দিকে যুগ্ম-সচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, ১০-১০-১৯৯৫ থেকে ২৬-০২-১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দ। ০৮-০২-১৯৯২ থেকে সিনিয়রটি দান। অবসর গ্রহণ ২৭-০২-১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দ। এডমিনিস্ট্রেটিব ডাইরেক্টর, গ্রামীণ কোর্ট প্রজেক্ট, আইন মন্ত্রণালয়, ১১-০৬-১৯৯৭ থেকে ৩০-০৪-১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ।

স্কুল জীবনে পদার্পণের সাথে সাথে দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী লেখালেখির ভুবনে প্রবেশ করেন। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গ্রন্থ “কাশফুল আসরার” এটি তাসাউফ জগতের অন্যতম বুজুর্গ হযরত দাতা গঞ্জে বখস আলী হুজুরী ইবনে জালালী(রহঃ) প্রণীত গ্রন্থ এর বঙ্গানুবাদ। তিনি ইংরেজি থেকে এর অনুবাদ করেন।১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ “সীরাতুন্নবী ও আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন”। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর অনবদ্য মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ ওলিকুল শিরোমণি হযরত শাহ জালাল ইয়ামনী(রহঃ)-এর জীবনী গ্রন্থ “হযরত শাহজালাল(রহঃ)”। ১৯৮৩ পালে প্রকাশিত হয় তাঁর সাড়াজাগানো মৌলিক আরেকটি গবেষণা গ্রন্থ “জালালাবাদের কথা” । তাঁর প্রকাশিত অন্যান্য প্রসিদ্ধ গবেষণা গ্রন্থগুলো হলো:-৪. স্বাধীনতা সংগ্রামে সিলেট (১৯৯৬), ৫. আমাদের সুফীয়ায়ে কেরাম (১৯৯৭), ৬. মাওলানা সৈয়দ নজির উদ্দিন আহমদ জীবন ও কর্ম (১৯৯৭), ৭. আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্মৃত ইতিহাস-২য় খন্ড (১৯৯৭), ৮. হযরত দাউদ কুরায়শী ও তাঁর বংশধরগণ, ৯. হযরত শাহজালাল(রহঃ) দলিল ও ভাষ্য, ১০. শিকড়ের সন্ধানে: শিলালিপি ও সনদে আমাদের সমাজচিত্র, ১১. আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা : উত্তরাধিকার ও মুসলমানী নগরী, ১২. আল কুরআনে মুহাম্মদ(সাঃ), ১৩. হযরত শাহজালাল (রহঃ) ও ৩৬০ আউলিয়া সিলেট -জালালাবাদ ঐতিহাসিক রূপরেখা, ১৪. সিলেট বিভাগের ইতিহাস। সর্বশেষ ঢাকার উৎস প্রকাশনী তাঁর কয়েকটি প্রবন্ধ নিয়ে “নির্বাচিত কয়েকটি প্রবন্ধ” শিরোনামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। গবেষণায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ইতি মধ্যে তিনি মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ পদক, কবি লায়লা রাগিব স্মৃতি পদক সহ সিলেট বাসীর গণসংবর্ধনায় ভূষিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..