জালালাবাদ এসোসিয়েশন কর্তৃক গঠিত কেন্দ্রীয় কোভিড-১৯ সমন্বয় কমিটির সভা সোমবার (২৩ আগস্ট ২০২১) বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০০ ঘটিকায় ভার্চুয়াল সফটওয়্যার ZOOM এর মাধ্যমে জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগে. (অব:) ডাঃ এ মালিকের সভাপতিত্বে, সৈয়দ জগলুল পাশার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মুবিন। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কোভিড সংক্রান্ত কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এড. জসিম উদ্দিন আহমেদ। সভায় কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয়র সম্পর্কে আলোকপাত করেন জাতীয় অধ্যাপিকা ডা: শাহলা খাতুন, জালালাবাদ শিক্ষা ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাবেক সচিব সোহেল আহমদ চৌধুরী, আরটিএম আল কবির টেনিক্যাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, বিএমএ এর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা সমিতির, ঢাকার সভাপতি ডা. সৈয়দ মোশতাক আহমদ, এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. আহমেদ পারভেজ জাবীন এবং আজীবন সদস্য ডা. আব্দুল জলিল বারভূইয়া।
প্রবাসী জালালাবাদ এসোসিয়েশন এর পক্ষ হতে সভায় সংযুক্ত থেকে পরামর্শ প্রদান করেন যুক্তরাজ্য সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক জিল্লু, যুক্তরাষ্ট্র এর সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, ফ্রান্স এর সভাপতি হেনু মিয়া সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ইতালির সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম, গ্রীস এর সাধারণ সম্পাদক মো: মুমিন খান, সৌদিআরব এর সভাপতি কাপ্তান হোসেন, বাহরাইন এর সভাপতি কয়েস আহমদ, কাতার এর সভাপতি মাহবুবুর রাহমান চৌধুরী, কুয়েতের সভাপতি আব্দুল হাই মামুন, মালয়েশিয়ার সভাপতি আহমেদুল কবির। জালালাবাদ অঞ্চলের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রবাসীদের পক্ষ হতে সব রকমের সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কোভিড-১৯ ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন শক্তিশালী করণের বিষয়ে আলোকপাত করেন সাবেক সভাপতি সি এম তোফায়েল সামি, সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা খানম চৌধুরী ও আনোয়ার চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সজল, কার্যনির্বাহী সদস্য বনমালী ভৌমিক, মোঃ আব্দুর রউফ, আব্দুল মজিদ চৌধুরী মিন্টু।
সিলেটের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা প্রতিরোধ মুলক কার্যক্রমের মধ্যে মাক্স ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য জনসচেতনতা তৈরির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সিলেট বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে সরকারি বেসরকারি সহায়তায় ব্যাপক প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাছাড়া বিশেষভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সিলেট বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের সহযোগিতায় অনলাইন চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় মাক্স, স্যানিটাইজার জরুরী ভিত্তিতে বিতরণ করা, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী সরকারি প্রকল্প তৈরি এবং বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সকলকে সুস্থতা কামনা করে সভাপতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Leave a Reply