দেশ বরেণ্য রম্য লেখক, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আতাউর রহমান আর নেই। আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)।
তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশকিছু দিন সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মরহুমের জানাজা তাঁর গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে। তিনি ২ পুত্র ও স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
১৯৪২ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রম্যলেখক আতাউর রহমান।
ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেএম এ ডিগ্রি নেয়ার পর মদনমোহন কলেজ ও এমসি কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাকিস্হান ডাক বিভাগে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি লন্ডন ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসরগ্রহণের পর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। আমলা, লেখক, শিক্ষক, কূটনীতিক, অসাধারণ বক্তা সিলেট আন্তঃপ্রাণ জনপ্রিয় এ লেখকের এ পর্যন্ত ২৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
‘দুই দুগুণে পাঁচ’ শিরনামে বাস্তব অসঙ্গতি তুলে ধরে সংবাদপত্রে তাঁর রম্য লেখা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অসাধারণ বক্তৃতার জন্যেও তিনি বিখ্যাত ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকার সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মুবিন, সাধারণ সম্পাদক এড. জসিম উদ্দিন আহমেদ, জালালাবাদ ভবন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ চৌধুরী ও সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এবং জালালাবাদ শিক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও সেক্রেটারি জালাল আহমদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ শোক বার্তায় বলেন, তিনি জীবদ্দশায় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা হিসাবে সমাজ কল্যাণে এবং শিক্ষায় যে অবদান রেখেছেন তা মানুষ চিরদিন স্মরণ রাখবে। নেতৃবৃন্দ তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
Leave a Reply